প্রকাশিত: Fri, Jan 19, 2024 11:38 AM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 5:23 AM

[১]রাজনৈতিক সংকট নিরসনের অপেক্ষায় নির্বাচন অনন্তকাল পেঁচানোর সুযোগ ছিল না: সিইসি

এম এম লিংকন: [২] প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়ে ওঠেনি, এ জন্য চাইলে কি ৩০ বছর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যেত? সংবিধানের বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ ছিল না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অজুহাতে ইসি সরকারের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে বলে যে অভিযোগ, তা সঠিক নয়। 

[৪] বৃহস্পতিবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করায় নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট  সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে কমিশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

[৫] তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে উঠে এসেছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। নির্বাচন নিয়ে যদি প্রতি পাঁচ বছর পর সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সে জন্য নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা প্রয়োজন।

[৬] নির্বাচন তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে, কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। সংবাদপত্র পড়ে মূলত এ সব জেনেছি। অনেকে সুনাম করেছে, অনেকে অপবাদ দিয়েছে। দুটোই বিবেচনায় নিতে হবে।

[৭] তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের যদি নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। নির্বাচন মোটাদাগে সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে গ্রহণযোগ্য না হলে একটা রাজনৈতিক সংকট থেকে যায়। একটা অংশ শুধু নির্বাচন বর্জন করেনি, প্রতিরোধ করারও ঘোষণা দেয়। সেদিন থেকে সংকট শুরু। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। তবে সবার সমন্বিত প্রয়াসে নির্বাচন উঠিয়ে আনা হয়েছে। সাময়িকভাবে হলেও জাতি স্বস্তিবোধ করেছে। নির্বাচন কমিশনও স্বস্তিবোধ করেছে।

[৮] এখনো পত্রপত্রিকায় সমালোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সোশ্যাল মিডিয়াকে আমরা গুরুত্ব দেই না। কারণ সেখানে অবারিতভাবে বদনাম করা হচ্ছে। মূল ধারার গণমাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ আলোচনা থাকে। নির্বাচন অনেকটা গ্রহণযোগ্যভাবে সুসম্পন্ন হয়েছে। সেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্বীকৃত হয়েছে। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। উদ্বেগ, সংকট থেকে জাতি উঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। 

[৯] এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান বক্তব্য দেন। ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশন সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব